বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ১০:৩১ অপরাহ্ন
সোহেল খান দূর্জয় নেত্রকোনা :
নেত্রকোনা ০৯.০২.২০২৩ ইং জেলার মদন উপজেলায় এক কলেজ ছাত্রী (১৯)কে প্রেমের ফাঁদে ফেলে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণ। অতঃপর ধর্ষণের ভিডিও চিত্র ধারণ করে রাখা।
উক্ত ভিডিও চিত্র ফেসবুকে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়ে আরও কয়েকবার ধর্ষণের অভিযোগ এনে ধর্ষিতার পিতা হাবিবুর রহমান বাদী হয়ে মদন থানায় মামলায় ধর্ষনের করেন।
গত ৪ ফেব্রুয়ারি শনিবার রাতে মদন থানায় দায়ের করা মামলায় অভিযুক্ত ওয়াসিম আকরাম (২৫)কে প্রধান আসামি করে, তিনজনের নাম উল্লেখ করে, মামলা করেছেন, ভুক্তভোগী কলেজ ছাত্রীর পিতা বাদী হয়ে।
মামলার এজহার ও ভুক্তভোগীর পিতার সঙ্গে কথা বলে, জানা যায় , ভুক্তভোগী কলেজ ছাত্রী মদন হাজী আব্দুল আজিজ খান সরকারি ডিগ্রী কলেজের এইচএসসি দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী। কলেজে আসা যাওয়ার সুবাদে প্রায় সময়ই ওই কলেজ ছাত্রীকে প্রেমের প্রস্তাব দিত অভিযুক্ত ওয়াসিম আকরাম।
একই কলেজের ডিগ্রি দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র উপজেলা পৌরসভার এমদাদপুর গ্রামের বাসিন্দা ইদ্রিস মিয়ার ছেলে ওয়াসিম আকরাম।
এক পর্যায়ে ঐ ছাত্রীকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণ করে ভিডিও চিত্র ধারণ করে রাখে ওয়াসিম আকরাম।
উক্ত ভিডিও চিত্র ইন্টারনেট ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় ভীতি দেখিয়ে একাধিকবার ধর্ষণ করে ওই কলেজ ছাত্রীকে।
গত ২৬ জানুয়ারি ২০২৩ তারিখে কলেজ ছাত্রীকে বিয়ে করবে বলে, প্রলোভনে মোবাইল ফোনে ডেকে নিয়ে আবার ধর্ষণ করে (অভিযুক্ত) ওয়াসিম আকরাম।
উক্ত বিষয়টি জানাজানি হলে, এমদাদপুর গ্রামের গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ভুক্তভোগী কলেজ ছাত্রীর পিতা হাবিবুর রহমানকে ডেকে নিয়ে বলেন, ওয়াসিম আকরামের পরিবার বিষয়টি মেনে নিয়ে বিয়ের করবে বলে, সমাধানে যাওয়ার আশ্বাস দিয়েছিলেন।
ভুক্তভোগী কলেজ ছাত্রীকে বিবাহ করবে বলে, বিষয়টি সমাধানের লক্ষ্যে কথা বলে, অভিযুক্ত ওয়াসিম আকরাম এ সুযোগে এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যায়।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে, অভিযুক্ত ওয়াসিম আকরাম এর মা, এই প্রতিনিধিকে জানায়, আমার ছেলেকে ওই মেয়ের বড় বোন, ও সে দুজনে মিলে পরিকল্পিতভাবে ফাঁসিয়েছে।
বিষয়টি সম্পর্কে জানতে চাইলে মদন থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ তাওহীদুর রহমান বলেন, কলেজ ছাত্রী ধর্ষণের মামলা হয়েছে, আসামি গ্রেপ্তারে চেষ্টা চলছে।